১০ ঘণ্টায়ও স্বাভাবিক হয়নি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
অনলাইন ডেস্ক

তীর্থ মহাষ্টমী স্নান উৎসব ঘিরে কয়েক লাখ মানুষের আগমনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। চাপ কিছুটা কমলেও ১০ ঘণ্টায়ও স্বাভাবিক হয়নি যান চলাচল। বুধবার (২৮ মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত ঢাকামুখী লেনে ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। তবে ভোর থেকে মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছিল।
লাখ লাখ পুণ্যার্থী আগমনের কারণে ভোর থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বাড়ে। মদনপুর, লাঙ্গলবন্দ, মোগরাপাড়াসহ কয়েকটি পয়েন্টে পুণ্যার্থীরা যানবাহন থেকে নেমে রাস্তা পারাপারের কারণে যানজট দেখা দেয়।
তীব্র যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থলে ও জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে যানবাহনের চাপের কারণে বিকল্প সড়কগুলোতেও যানজট দেখা দিয়েছে।
আলমগীর হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘সকালে এক কাজে বের হয়েছিলাম। কিন্তু মহাসড়কে তীব্র যানজট থাকায় বাসায় চলে যাই। ভেবেছি দুপুরে যানজট থাকবে না। কিন্তু এসে দেখছি এখনো জট পুরোপুরি কমেনি।’
ফিরোজ মিয়া নামের এক কাভার্ড ভ্যানচালক বলেন, ‘মালামাল নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সকাল ১১টার দিকে সায়েদাবাদ থেকে যাত্রা করি। কিন্তু যানজটে এখন পর্যন্ত মদনপুর সিগন্যালে আটকে আছি। শুনেছি সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজট আছে। তাই কখন নাগাদ চট্টগ্রামে পৌঁছতে পারব তা বলতে পারছি না।’
কুমিল্লা থেকে আসা আলী হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, রাত ৩টায় গাড়িতে উঠেছেন, দুপুর ১২টায় সোনারগাঁয় এসে পৌঁছেছেন। কখন ঢাকার সায়েদাবাদ পৌঁছবেন বলতে পারছেন না।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, লাঙ্গলবন্দ স্নানে পুণ্যার্থীদের আগমনকে ঘিরে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি সন্ধ্যার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।