হাতেকলমে শিক্ষায় আগ্রহ গ্রামের শিক্ষার্থীদের, শহরে মুখস্থবিদ্যা

প্রাচ্যবাণী প্রতিবেদন
গ্রামের শিক্ষার্থীদের চেয়ে শহরের শিক্ষার্থীরা ফলাফলে সবসময় এগিয়ে। ভালো ফল অর্জন করায় পরের ধাপে নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ঠাঁই মেলে তাদেরই। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টো। নতুন কারিকুলামে গ্রামের শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে হাতে-কলমে শিখছে। আর মুখস্থবিদ্যা না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে শহরের নামি দামি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ -এর পাইলটিং কার্যক্রমে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামের শিক্ষার্থীরা দ্রুত নতুন শিক্ষাক্রম আয়ত্ত করতে শিখছে। তারা নতুন ধারণার ওপর প্রশ্ন করছে। শিক্ষক-অভিভাবকরা তাদের আগ্রহে খুশি। গৃহশিক্ষক ছেড়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা গ্রুপ স্টাডি তথা দলভিত্তিক অধ্যয়ন করছে। তারা নতুন শিক্ষাক্রম উপভোগ করছে।
অন্যদিকে শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপরীতচিত্র দেখা যাচ্ছে। তারা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষাগ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে। অকারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছে। মুখস্থবিদ্যানির্ভর পড়াশোনা করে দ্রুত পরীক্ষা দিতে এবং ভালো ফল পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে এমন সুযোগ না থাকায় তারা অনেকটাই হতাশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারমাস ধরে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিং কার্যক্রমের আওতায় ক্লাস শুরু হয়েছে। হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন কাজ, নিজের ও অন্যদের প্রতি দায়িত্ব ও করণীয় এবং চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখানো হচ্ছে। সেখানে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মুখস্থবিদ্যার চেয়ে বাস্তবমুখী শিক্ষা। এর প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব দেখতে পাইলটিং কার্যক্রম চলা বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিশেষজ্ঞরা।
তারা জানান, ধারণা করা হচ্ছিল—নতুন শিক্ষাক্রমে শহরের শিক্ষার্থীরা ভালো করবে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে যেতে পারে। বাস্তবে ঘটছে উল্টো। শহরের নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। তারা নতুন কারিকুলামকে আয়ত্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন বিষয়গুলো বুঝে উঠতে শহরের শিক্ষার্থীরাই বেশি সময় নিচ্ছে। শহরের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাই তুলনামূলক বেশি সচেতন। ফলে তারা সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
পাইলটিং কার্যক্রম চলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে পরিদর্শনে যাওয়া শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভালো ফল অর্জন করা অধিকাংশ শিক্ষার্থী মুখস্থবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল। পাঠ্যবই মুখস্ত করে তারা ভালো ফল অর্জন করেছে। এ সূত্র ধরে নামি-দামি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তারা। নতুন শিক্ষাক্রমে মুখস্থবিদ্যা দিয়ে ভালো ফল অর্জনের সুযোগ নেই। এজন্য তারা পিছিয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতি খোদ ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের। নামি এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী শিক্ষার সুযোগ কম। ফলে আগের মতো তাদের পাঠ্যবইয়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের মতোই চিত্র দেখা গেছে বরিশাল জেলা স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও। অথচ মফস্বলের বা শহরের তুলনামূলক কম খ্যাতিসম্পন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা নতুন এ শিক্ষাক্রমে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারছে। তারা এ কারিকুলাম উপভোগ করছে।
তবে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে পিছিয়ে পড়ছে- এটা মানতে নারাজ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ ভূঁইয়া। তার ভাষ্য, ‘নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।’
অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ ভূঁইয়া বলেন, ‘নতুন কারিকুলামের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে নিয়েছে। তবে অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বাস্তবমুখী শিক্ষা দেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়েছে। পাইলটিংয়ের আন্ডারে থাকা শিক্ষার্থীরা চারমাস ধরে নতুন শিক্ষাক্রমের বই পড়ছে। তবে তাদের এখনো পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এতে তারা কিছুটা হতাশার মধ্যে পড়েছে। পরীক্ষার আয়োজন করতে অনুরোধ জানাচ্ছে। অভিভাবকরাও এসে শিক্ষকদের কাছে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাদের একটি অধ্যায় রয়েছে। বাস্তবজ্ঞানের জন্য তারা রাস্তায় গেলেও ট্রাফিক পুলিশরা তাদের দাঁড়াতে দেননি। পরে কৃত্রিম ট্রাফিক সিগন্যাল তৈরি করে তাদের সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন শিক্ষকরা। এ ধরনের নানামুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।’
তবে নতুন শিক্ষাক্রমে শহরের নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে, পাইলটিং কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে এমন প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. তারিক আহসান।
তিনি বলেন, ‘পাইলটিং কার্যক্রম চলা সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গৃহশিক্ষক রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষকদেরও কোনো ধরনের কোচিং না করার সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাই সেটি অনুসরণ করছে বলে আমরা দেখেছি।’
অধ্যাপক ড. তারিক আহসান বলেন, ‘শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে আমরা বিস্তর আলোচনা করেছি। পরিস্থিতি জানতে চেয়েছি। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শহরের বড় স্কুলগুলোর চেয়ে মফস্বলের শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো করছে। তারা (গ্রামের শিক্ষার্থীরা) দ্রুত নতুন ধারণার ওপর প্রশ্ন করতে শিখছে। স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে এবং বাড়িতে অভিভাবকদের কাছে সেই প্রশ্ন করছে, জেনে নিচ্ছে। স্কুলের আঙিনা ছাড়াও বাড়িতে দলভিত্তিক স্টাডি করতে শিখছে। তাদের প্রাইভেট টিউশন দেওয়া লাগছে না। এতে গ্রামের এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বই পড়ার সঙ্গে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা নেওয়াটা গ্রামে সহজ। এক্ষেত্রে শহরের শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে সামনে এগোতে হচ্ছে। ফলে তারা নতুন শিক্ষাক্রমে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। শুধু ঢাকার স্কুলগুলোর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, নামি অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে মোহাম্মদপুরের সহজ পাঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশ এগিয়ে রয়েছে। তাদের মতো নতুন শিক্ষাক্রমে ভালো করছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।’
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. তারিক আহসান বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মান আরও বাড়াতে হবে। অনেক শিক্ষক নিজের ইউনিক স্টাইলে ক্লাসে পড়াতে চান। এখনো তারা টিচার্স গাইড না পড়ে ক্লাসে আসছেন। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। শিক্ষকদের অবশ্যই নতুন শিক্ষাক্রম মেনে ক্লাসে পড়াতে হবে। এক উপজেলার সঙ্গে অন্য উপজেলার স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দলভিত্তিক স্টাডির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করা গেলে বৈষম্য কমবে। কেউ কারও চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে থাকবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘যদি ধরেই নেই, শহরের শিক্ষার্থীরা আগে এগিয়ে ছিল। তাহলে এখন নতুন কারিকুলামে তাদের পিছিয়ে পড়ার অর্থ দাঁড়ায়, বাস্তবজীবনে তারা পিছিয়ে পড়বে। যেভাবে তারা ভালো ফল অর্জন করে শিক্ষাজীবনে ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়, তা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে তারা বিশেষ কিছু করতে পারতো না বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামের অধিকাংশ বাচ্চা ছোটবেলা থেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বড় হয়। শহরে তো মা-বাবা সন্তানকে স্কুলে নিয়ে শ্রেণিকক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কোনোমতে ক্লাস শেষ হলেই আবার তারা নিয়ে বাসায় চলে আসেন। শহরের বাচ্চাদের এ কারণে কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয় না। এজন্য গ্রামের শিক্ষার্থীরা বাস্তবজীবনে অনেক ভালো করে। শহরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হয়ে আসছিল। যার কারণে নতুন শিক্ষাক্রমে তাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত এটা ঠিক হয়ে যাবে। যখন শহর-গ্রামের সব শিক্ষার্থী নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় বাস্তবমুখী শিক্ষাগ্রহণ করে বড় হবে, তখন বাস্তবজীবনে তারা নিশ্চয়ই সফল হবে। এতে বৈষম্যও কমবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইসহাক বিন রাহাতের অভিভাবক ইসমত আরা বলেন, অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রদের পরীক্ষা হলেও আমার ছেলের ক্লাসে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। বছরের এ সময়ে তারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও এবার তা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাসায় গৃহশিক্ষক না দিতে স্কুল থেকে বলা হয়েছে। ক্লাস শিক্ষকরাও কোচিং করাচ্ছেন না। আমার সন্তানকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করাতে চাই, সে কারণে পরীক্ষা হওয়াটা জরুরি। সেটি হলে সে বেশি পড়ালেখা করবে ও বেশি শেখা হবে। নতুন কারিকুলামে সেটি না হওয়ায় ছেলে ক্যাডেট কলেজে সুযোগ পাবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।
তার মতো আরও অনেক অভিভাবক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনে গত ৩০ মে নতুন ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম’ অনুমোদন দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন এ শিক্ষাক্রমের রূপরেখা প্রণয়ন করে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্তভাবে চলতি বছর এ শিক্ষাক্রমের অনুমোদন দেয় এনসিসিসি।
নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা রাখা হয়নি। নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজনও থাকছে না। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন ১০ বিষয়ে পাঠদান, একাদশ ও দ্বাদশে পৃথক পাবলিক পরীক্ষা এবং পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। মূলত প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চলমান শিক্ষাক্রমের ভুলত্রুটি সংশোধন, আন্তর্জাতিক মান ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে এ পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শিক্ষাকে আনন্দময় করে তোলা এবং শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা রেখে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা হবে। তবে চলতি বছর থেকে প্রাথমিকের প্রথম এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শুরু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।