হস্তান্তরের আগেই ১০ কোটি টাকার ভবনে ৯ ত্রুটি

যবিপ্রবি’র শেখ রাসেল জিমনেশিয়াম

যশোর ব্যুরো
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নবনির্মিত শেখ রাসেল জিমনেশিয়াম উদ্বোধনের দুই মাসের মধ্যেই নানা ত্রুটি ধরা পড়েছে। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ১৫ নভেম্বর উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ত্রুটিগুলো সংস্কার করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১০ কোটি এক লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ২২ হাজার ২৮০ বর্গফুটের আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়ামটি নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারির প্রতিষ্ঠান মেসার্স কপোতাক্ষ এন্টারপ্রাইজ ও শামিম চাকলাদার এন্টারপ্রাইজ। ২০২০ সালের জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তরের কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় হস্তান্তরের সময় বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি। এরপর ভবনটি হস্তান্তর না হলেও ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন। এরপর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভবনটি হস্তান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ভবনে বেশ কিছু নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রকৌশলী প্রতিনিধি দল আনা হয়। ওই টিম পর্যবেক্ষণ করে ভবনটি হস্তান্তরের আগে মেঝের ক্রাক মেরামত (ইনডোর খেলার জায়গায়), সমস্ত মেঝে এবং সিঁড়ি পরষ্কিার, টয়লটের ব্লক মেরামত, দরজার শাটার পলিশিং, জানালার সিল মেরামত, শীর্ষতলার অতিরিক্ত পুনর্বন্যিাস কাটা, শীর্ষতলার সিঁড়ি ও অন্য কয়েকটি জায়গার কিছু টাইলস পরির্বতন ও ক্যাট দরজা মেরামতের পরামর্শ দেয়।

জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. জহির বলেন, ‘ভবনের ত্রুটি মেজর সমস্যা নয়। কুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশনা অনুযায়ী মেরামত কাজ করছি।’

যবিপ্রবি নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদ ইমাম বলেন, নবনির্মিত ভবনটি হস্তান্তরের আগেই কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে। কুয়েট ইঞ্জিনিয়ার প্রতিনিধি দল এনে ভবনটি দেখানো হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে মেরামত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে ভবনটি বুঝে নেওয়া হবে।

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০ কোটি এক লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকার বিল ছাড় করা হয়েছে। ভবনটি বুঝে নেওয়ার পর বাকি টাকা ছাড় করা হবে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি টাকা এক বছরের জন্য জমা থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তারা যে কোনো সমস্যা সমাধানে বাধ্য থাকবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button