সাফারি পার্কে ১৩ প্রাণীর মৃত্যু, তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এক মাসের মধ্যে ১৩টি প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি ১৯ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

রোববার প্রায় এক মাস তদন্তের পর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

তিনি বলেন, বর্ধিত সময়ের মধ্যে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। কমিটি সম্মিলিতভাবে ১৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে নানা পরামর্শ হিসেবে আরও পাতা যুক্ত করা হয়েছে।

তদন্তে কী পাওয়া গেছে এ বিষয় তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেন, এটি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে।

সঞ্জয় ভৌমিক নেতৃত্বে এই কমিটিতে আরও ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন ভবন, ঢাকা এর বন সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রাক্তন চিফ ভেটেরিনারি অফিসার ডা. এবিএম শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের (সিডিআইএল) প্রধান মো. আজম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী কমিটির সদস্য-সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।

কমিটির সহযোগী হিসেবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনজন কর্মকর্তা ছিলেন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউল আহাদ সরকার, ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুকেশ চন্দ্র বৈদ্য ও বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, ১টি বাঘ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি একটি সিংহী মারা যায়। একসঙ্গে এত প্রাণীর মৃত্যুতে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেব্রা ও বাঘের মৃত্যুর পর গত ২৬ জানুয়ারি তদন্ত কমিটিটি গঠন করা হয়েছিল।

Related Articles

Back to top button