সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প নেই: সেলিমা রহমান

প্রাচ্যবাণী ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, বর্তমান স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প নেই।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘লাগামহীন দ্রব্যমূল্য ও দুর্নীতি : অসহায় জনগণ’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে অন্তরে মম শহীদ জিয়া কেন্দ্রীয় কমিটি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষের আর্তনাদ তাদের কানে পৌঁছায় না। তারা মানুষের টাকা লুটে নিয়ে বিদেশে বেগম পাড়া বানাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ৯ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। আসুন যার যার জায়গা থেকে আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিই। এখানে কে কী পেলাম, কী পেলাম না সেই চিন্তা ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সেলিমা রহমান বলেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, সরকারের দুর্নীতির কারণে অসহায় জনগণ। এই আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আসলে তারা তো দেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনাতার বিরোধী। তারা হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন করছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা। ৩৫ লাখ নেতাকর্মী আসামি।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কি কষ্টে আছে তা সবাই জানেন। আজকে দুইজন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। তাদের সার, সেচ ও অন্যান্য সেবা দেওয়া হয়না। একজন রিকশাচালক আত্মহত্যা করেছে। কারণ তার রিকশা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজকে মধ্যবিত্ত সমাজ বলতে কিছু নেই। আজকে উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সমাজ তৈরি হয়েছে। ভালো চাকুরিজীবী মানুষও টিসিবির ট্রাকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। অন্যদিকে, সরকার উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে লুটপাট করছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে।

সেলিমা রহমান বলেন, এই সরকার আমাদের তরুণ নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। তার সঙ্গে পরিবারের লোকজনকে দেখা করতে দিচ্ছে না। তিনি তো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তার বাবা তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। এই সরকার সংবিধানের বাইরে সবকিছু করছে। তারা লুটপাট ও দুর্নীতি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুষছে। আজকে দেশে মিথ্যাচার করে চলেছে এই সরকার। কিন্তু এভাবে বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না। আমাদের সবাইকে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনতে হবে।

ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

Related Articles

Back to top button