শিমুলিয়া ঘাটে চার হাজার মোটরসাইকেল

জেলা প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের ঢল নেমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলে আসা যাত্রীদের চাপ উপচেপড়া।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাটে আসছেন হাজার হাজার যাত্রী। মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপারে হিমশিম অবস্থায় ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফেরির পাশাপশি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীদের ভিড় দেখার মতো।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন পারাপারে একটি রো রো, দুটি মিনি রো রো, দুটি কেটাইডপ ও দুটি ডাম্পসহ ১০টি ফেরি সচল রয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল রয়েছে ১নং ফেরিঘাটে। এই ঘাট হয়ে শুধু মোটরসাইকেল যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, ডাম্পফেরি রায়পুরাতে পারাপার করা হচ্ছে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। এরপরও কমছে না চাপ।
পন্টুনের অভিমুখ থেকে পার্কিং ইয়ার্ড সড়কে শুধু মোটরসাইকেল। স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের চাপ। লঞ্চে গাদাগাদি ভিড়, লঞ্চঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সিঁড়িতে যাত্রীদের দীর্ঘ জট থামছে না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন জানান, নৌরুটে একটি রো রো, দুটি মিনি রো রো, দুটি কেটাইপ ও দুটি ডাম্পসহ মোট ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে আট শতাধিক ব্যক্তিগত ও ছোট গাড়ি আছে। দীর্ঘ সারিতে রয়েছে চার হাজার মোটরসাইকেল।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান বলেন, রাতে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে বন্ধ হলেও সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ সচল রয়েছে। পাশাপাশি ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে। সকাল থেকেই লঞ্চ-স্পিডবোটে যাত্রীদের ঢল রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারে। বাড়তি যাত্রীর কারণে বেগ পেতে হচ্ছে।