শাহবাগে অবরোধ: তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গৃহবধূ নাজমা খাতুন। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মোহাম্মদপুর থেকে বাসে করে মাতুয়াইল মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট রোগীর জন্য খাবার নিয়ে রওনা হন। শাহবাগে সাড়ে দশটার মধ্যে পৌঁছে আটকা পড়েন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলেন স্বাভাবিক যানজট, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারেন সারাদেশে পূজামণ্ডপে ভাঙচুরের প্রতিবাদে শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
সঙ্গে আলাপকালে নাজমা খাতুন বলেন, গত আড়াই ঘণ্টা ধরে বাসে বসে আছি। কখন প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হবে তা বুঝতে পারছি না। বাস থেকে নেমে হেঁটে যাবো সে উপায়ও নেই। সবদিকেই রাস্তা বন্ধ। এখন অপেক্ষা ছাড়া আর কি বা করতে পারি।

নাজমা বেগমের মতো শাহবাগে এসে আটকা পড়েছেন অনেকে। শাহবাগ চৌরাস্তায় রাস্তা আটকে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রতিবাদ সমাবেশের কারণে কাটাবন থেকে শাহবাগ অভিমুখে এবং মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগমুখী শত শত যানবাহন (বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাসহ) আটকা পড়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বাসের যাত্রীরা কেউ কেউ নেমে হেঁটে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে কোনো কোনো যাত্রী সামনে গিয়ে আদৌ যানবাহন পাবেন কিনা তা ভেবে গত দুই তিন ঘণ্টা ধরে বাসে অবস্থান করছেন। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন যাদের তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে রাখার কারণে তাদের স্ব-স্ব যানবাহনেই অবস্থান করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতিবাদকারীদের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগ চত্বর। তারা সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মমিন মিয়া বলেন, ধানমন্ডি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু শাহবাগে এসে রাস্তায় আটকে পড়ার কারণে যাত্রী সামান্য ভাড়া দিয়ে নেমে যান। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সিএনজি গ্যাস ও ব্যক্তিগত খাবার খরচ ছাড়া প্রতিদিনের জমা এক হাজার টাকা। এখানে বসে থাকা মানে রোজগার বন্ধ।

Related Articles

Back to top button