বার বার নিলাম তবু বিক্রি হচ্ছে না বহু লট পণ্য

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নিলামে ৭৫টি লটের মধ্যে ৩১টিতে কোন দরপত্রই জমা পড়েনি। যেসব লটে দর জমা পড়েছে সেগুলোর মধ্যে ১৭ বার নিলামে উঠেছে এমন ১টি, ১৩ বার নিলামে উঠেছে এমন ১টি এবং ১১ বার নিলামে উঠেছে এমন ১টি এবং ৬ বার নিলামে উঠেছে এমন ১টি লট রয়েছে। এছাড়া ৪ বার নিলামে উঠা ৫টি, ৩ বার নিলামে উঠা ৫টি, ২ বার নিলামে উঠা ৩টি এবং ১ বার নিলামে উঠা ২৭টি লটে দর জমা পড়ে। অর্থাৎ নিয়মিত নিলাম অনুষ্ঠিত হলেও অনেক লটে কোন দরই জমা পড়ে না।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামে জমা পড়া দরপত্রের পর প্রকাশিত তালিকা থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে, নিলামের ক্যাটালগে থাকা ৩টি মাইক্রোবাসের ৩টি লটের মধ্যে দুটিতেই কোন দর জমা পড়েনি। শুধু ১টি মাইক্রোবাসের লটে দর জমা পড়ে। তাও ওই লটের সংরক্ষিত মূল্যের মাত্র ১৭ শতাংশ দর প্রস্তাব করে নিলামে অংশগ্রহণকারী। জাপানে তৈরি ২০০৩ সালের টয়োটা সাদা মাইক্রোবাসটি সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৬ টাকা।
কিন্তু ওই লটের জন্য দর প্রস্তাব করা হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা, যা সংরক্ষিত মূল্যের প্রায় ১৭ শতাংশ। এই গাড়িটি এ পর্যন্ত ২ বার নিলামে তোলা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি দর আহ্বান করা হলে সেটি বিক্রির জন্য অনুমতি পাওয়ার বিধান থাকে। কিন্তু গাড়িটির কাক্সিক্ষত মূল্য না পাওয়ায় সেটিও বিক্রি হচ্ছে না।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ নম্বর নিলামে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা ও,এম এবং এইচ গোলায় থাকা প্রায় ২৭টি লটে পণ্য বিক্রির জন্য যুক্ত করা হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই সব গোলায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকা পণ্যগুলো বিক্রি করে খালি করতে চাইছে। কারণ ওই সব গোলায় থাকা পণ্যের কারণে বন্দর অভ্যন্তরের প্রচুর জায়গা দখল করে রয়েছে। এগুলো খালি করা গেলে সেখানে কনটেইনার ইয়ার্ড নিমার্ণের পরিকল্পনা আছে বন্দরের। এতে কনটেইনার হ্যান্ডেলিয়ের জায়গাও বাড়বে।