তৃতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেশে তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) রোববার (২৮ নভেম্বর) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই ধাপে ৩৩টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
একইদিন দেশের ৯টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব পৌরসভা হলো লক্ষ্মীপুর সদর, পাবনার বেড়া, নোয়াখালীর সেনবাগ, রংপুরের পীরগঞ্জ, পটুয়াখালীর গলাচিপা, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও নীলফামারী সদর।
নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ইউপি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমাদের ব্যুরো, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
খুলনা
তৃতীয় ধাপে খুলনার তেরখাদা ও রূপসা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে খুলনার রূপসা ও তেরখাদা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা সদরে আওয়ামী লীগের এফ এম অহিদুজ্জামান (নৌকা), মধুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখ মো. মোহসিন (নৌকা), ছাগলাদাহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম দ্বীন ইসলাম (আনারস), বারাসাত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কে এম আলমগীর হোসেন (নৌকা), আজগড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কৃষ্ণ মেনন রায় (নৌকা) ও সাচিয়াদাহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বুলবুল আহমেদ (নৌকা) এবং রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
তেরখাদার ২ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান ও মো. শফিকুল ইসলাম এবং রূপসার রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ আবদুর রব রোববার রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
রাজশাহী
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত রাজশাহীর ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ১০টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
রোববার জেলার পবা উপজেলার ৭টি এবং মোহনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে।
পবা উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৪টিতে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এরা হলেন- হুজুরীপাড়ায় গোলাম মোস্তফা, দামকুড়ায় রফিকুল ইসলাম ও বড়গাছীতে শাহাদত হোসাইন সাগর। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হরিপুরে জয়লাভ করেছেন বজলে রেজবি আল হাসান মুঞ্জিল।
এছাড়া দর্শনপাড়ায় শাহাদত হোসেন সাব্বির (আনারস), পারিলায় সাঈদ আলী মোরশেদ (ঘোড়া) এবং হড়গ্রাম ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (অটোরিকশা) বিজয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে সাব্বির ও মোরশেদ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। আর আবুল কালাম আজাদ জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
এদিকে মোহনপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের সবকটিতেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এরা হলেন- মৌগাছি ইউনিয়নে আল আমিন বিশ্বাস, ধুরইলে দেলোয়ার হোসেন, রায়ঘাটিতে বাবুল হোসেন, ঘাষিগ্রামে আজহারুল ইসলাম, বাকশিমইলে আব্দুল মান্নান ও জাহানাবাদ ইউনিয়নে হযরত আলী বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন।
গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফলাফল ঘোষিত ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর ৩টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন যারা- সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল জব্বার মিয়া (মোটরসাইকেল), সোনারায় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ বদিরুল আহসান সেলিম (চশমা), তারাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), বেলকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ (দুটি পাতা), দহবন্দ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল আলম সরকার রেজা (নৌকা), সর্বানন্দ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), রামজীবন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামছুল হুদা (আনারস), ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেছুর রহমান মন্ডল (ঘোড়া), ছাপড়হাটী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কনক কুমার গোস্বামী (নৌকা), শান্তিরাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম মিজানুর রহমান খোকন (দুটি পাতা) এবং কাপাসিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জু মিয়া (চশমা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ফলাফল স্থগিত হওয়া দুই ইউনিয়নের মধ্যে কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার আলম সরকার (আনারস) এবং শ্রীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মুকুল (আনারস) এগিয়ে আছেন।
এদিকে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ টাউনহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পৃথক তিনজন রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহীনুর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহা. মাহতাব হোসেন এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলতাব হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
পলাশবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর ২টিতে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী ও ২টিতে বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতরা হলেন- পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী মো. তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু (লাঙ্গল) ৩ হাজার ৯৩২ ভোট, মহদীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল (নৌকা) ৬ হাজার ৬৪ ভোট, বেতকাপা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা (লাঙ্গল) ৫ হাজার ৩০৯ ভোট, পবনাপুর ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান মন্ডল (মোটরসাইকেল) ৩ হাজার ৪৬১ ভোট, মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন (নৌকা) ৬ হাজার ৬২ ভোট, হরিনাথপুর ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কবির হোসাইন জাহাঙ্গীর (ঘোড়া) ৩ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তৃতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর ও সরাইল উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সরাইলের ৯টি, নবীনগরে ১৩টি এবং বাঞ্ছারামপুরে ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। বাঞ্ছারামপুরের একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানসহ সব পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর ফলে রোববার এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কেবল ৩টি ইউনিয়ন এবং চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি দুই পদে ৭টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগরে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। আর বাঞ্ছারামপুরের তিন ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হোসেন ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজগর আলী এ ফলাফল নিশ্চিত করেছেন। সরাইল উপজেলার ইউনিয়নগুলোর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া যায়নি।
ফলাফল অনুযায়ী বাঞ্ছারমপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রহিম বেসরকরিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তেজখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। ফরদাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাশিদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর আলম বিজয়ী হয়েছেন। রছুল্লাবাদ ইউনিয়নে খন্দকার মনির হোসেন স্বতন্ত্র পদে লড়ে নির্বাচিত হয়েছেন। শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী জাকি উদ্দিন।
জিনোদপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল নির্বাচিত হয়েছেন। লাউরফতেহপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
সাতমোড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রর্থী আবু মুছা নির্বাচিত হয়েছেন।
সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশিকুর রহমান আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। রতনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শামছুজ্জামান খান নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা
পাবনার ৩ উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৯ জন ও ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার রাতে তিন উপজেলার নির্বাচন অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজয়ীরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এমলাক হোসেন বাবু (স্বতন্ত্র), লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে আনিস উর রহমান শরীফ (নৌকা), সাঁড়া ইউনিয়নে এমদাদুল হক রানা সরদার (নৌকা), সলিমপুরে আমজাদ হোসেন বাবলু মালিথা (স্বতন্ত্র), পাকশী ইউনিয়নে সাইফুজ্জামান পিন্টু (নৌকা), দাশুড়িয়া ইউনিয়নে বকুল সরদার (নৌকা) ও মুলাডুলি ইউনিয়নে আব্দুল খালেক মালিথা (নৌকা)।
সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নে মীর মন্জুর এলাহী (নৌকা), ক্ষেতুপাড়ায় মনসুর আলম পিন্চু (নৌকা), গৌরিগ্রামে আব্দুল ওহাব মাস্টার (নৌকা), নন্দনপুরে রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লা (নৌকা), ধোপাদহে সাইদুজ্জামান বাবুল (নৌকা), আর-আতাইকুলায় মিরাজুল ইসলাম (নৌকা) নাগডেমড়া মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ (স্বতন্ত্র) ও ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে এনামুল কবির মাসুদ (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নে মো. রবিউল করিম এম এ (নৌকা), নিমাইচড়ায় মোছা. নুরজাহান বেগম মুক্তি (নৌকা), মথুরাপুরে মো. শাহ আলম (নৌকা), ছাইকোলায় নুরুজ্জামান নুরু (নৌকা), মুলগ্রামে রাশেদুল ইসলাম বকুল (নৌকা), হরিপুরে মকবুল হোসেন (নৌকা), পার্শ্বডাঙ্গায় আলহাজ মো. আজাহার আলী (নৌকা), গুনাইগাছায় মো. রজব আলী বাবলু (স্বতন্ত্র), ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে মো. শামীম হোসাইন (স্বতন্ত্র), বিলচলে মো. আক্তার হোসেন (স্বতন্ত্র), ও ফৈলজানা ইউনিয়নে মো. হাফিজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁ
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁ জেলার দুই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আটজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৪ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ ও বদলগাছী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. সেজারুদ্দিন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১১ জন বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে বিজয়ীরা হলেন- ভারশোঁ ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, পরানপুর ইউনিয়নে মাহফুজুর রহমান উজ্জল এবং কসব ইউনিয়নে ফজলুর রহমান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ীরা হলেন- প্রসাদপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন, বিষ্ণপুর ইউনিয়নে এসএম গোলাম আজম, গণেশপুর ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে আব্দুস সালাম, ভালাইন ইউনিয়নে গোলাম মোস্তফা মন্ডল, নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নে ইয়াছিন আলী প্রামাণিক, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে এসএম মখলেছুর রহমান কামরুল, কুসুম্বা ইউনিয়নে নওফেল আলী, কালিকাপুর ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম বাবু, মৈনম ইউনিয়নে আনিসুর রহমান এবং মান্দা ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন তোফা।
অপরদিকে বদলগাছী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে পাঁচজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকে বিজয়ীরা হলেন- বদলগাছী সদর ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন, কোলা ইউনিয়নে শাহীনুর ইসলাম স্বপন, পাহাড়পুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান কিশোর, মিঠাপুর ইউনিয়নে ফিরোজ হোসেন এবং মথুরাপুর ইউনিয়নে মাসুদ রানা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ীরা হলেন- বালুভরা ইউনিয়নে আল এমরান হোসেন, বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে সাইদুর রহমান কেটু এবং আধাইপুর একেএম রেজাউল কবীর পল্টন।
মেহেরপুর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে রাইপুর ইউনিয়নে গোলাম সাকলায়েন ছেপু (নৌকা), ষোলটাকা ইউনিয়নে আনোয়ার পাশা (আ.লীগের বিদ্রোহী) ও কাজিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. আলম হুসাইন বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ধানখোলা ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।
রাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম সাকলায়েন ছেপু জয়ী হয়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। কাজিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. আলম হুসাইন বিজয়ী হয়েছেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) সেলিম রেজা বিজয়ী হয়েছেন। বুড়িপোতা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহজামান বিজয়ী হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে বালীয়াডাঙ্গী বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সাতটিতে নৌকা ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন৷ পাড়িয়ায় মো. ফজলে রাব্বী রুবেল (নৌকা), চাড়োলে শ্রী দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী বাবু (নৌকা), ধনতলায় শ্রী সমর কুমার চ্যাটার্জী নুপুর (নৌকা), বড় পলাশবাড়ীতে মো. শাহাবুদ্দীন মিয়া (নৌকা), দুওসুওয়ে প্রভাষক সোহেল রানা, ভানোরে মো. রফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), আমজানখোরে মো. আকালু ডোংগা (নৌকা) ও বড়বাড়ী ইউনিয়নে মো. আকরাম আলী (নৌকা) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতে নৌকা ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন৷ ভোমরাদহে হিটলার হক (নৌকা), কোষারাণীগঞ্জে মো. মোস্তফা আলম (আনারস), খনগাঁওয়ে শহিদ হোসেন, (নৌকা), সৈয়দপুরে বিবেকান্দ নিমাই (নৌকা), পীরগঞ্জে মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরী (ঘোড়া), হাজীগঞ্জে মো. জয়নাল আবেদীন (নৌকা), দৌলতপুরে সনাতন (নৌকা), সেনগাঁওয়ে মো. সাইদুর রহমান (মোটরসাইকেল), জাবরহাটে মো. জিয়াউর রহমান (নৌকা) ও বৈরচুনা ইউনিয়নে টেলিনা সরকার হিমু (নৌকা) চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৫ ইউনিয়নে ৪ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে আরেক ইউনিয়ের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে পাঁচ ইউনিয়নের সবকটিতে আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে এবং তারা সকলেই বর্তমান চেয়ারম্যান।
রোববার রাতে কালাই উপজেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন- কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে শওকত হাবিব তালুকদার (নৌকা), আহম্মেদাবাদে আলী আকবর মন্ডল (নৌকা), উদয়পুরে মো, ওয়াজেদ আলী (নৌকা) ও জিন্দারপুর ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান (নৌকা)। পুনট ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল কুদ্দুস ফকিরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে জাগীর ও গড়পাড়া ইউনিয়ন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন ও আফসার উদ্দিন সরকার। অন্য ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদ হোসেন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- দিঘী ইউনিয়নে আখতার উদ্দিন আহমেদ রাজা (মোটরসাইকেল), নবগ্রামে গাজী হাসান আল মেহেদী সুহাস (নৌকা), পুটাইলে মহিদুর রহমান মহিদ (নৌকা), ভাড়ারিয়ায় আব্দুল জলিল (নৌকা), হাটিপাড়ায় গোলাম মনির হোসেন (নৌকা), কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বিপ্লব হোসেন সেলিম (নৌকা), আটিগ্রামে নূর-এ-আলম সরকার (নৌকা) ও বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নে আসমত আলী (আনারস)।
কুষ্টিয়া
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মাত্র ৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। বাকি ১০টিতে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন- উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নে আশরাফুল উজ জামান মুকুল সরকার (নৌকা), আদাবাড়ীয়ায় আব্দুল বাকি (আনারস), হোগলবাড়ীয়ায় সেলিম চৌধুরী (নৌকা), চিলমারীতে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান (মোটরসাইকেল), রিফায়েতপুরে আব্দুর রশিদ বাবলু (মোটরসাইকেল), খলিশাকুন্ডিতে জুলমত হোসেন (স্বতন্ত্র), পিয়ারপুরে সোহেল রানা বুলবুল (চশমা), ফিলিপনগরে নঈম উদ্দিন সেন্টু (চশমা), রামকৃষ্ণপুরে সিরাজ মন্ডল (নৌকা), মরিচায় জাহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), দৌলতপুরে মহিউদ্দিন বিশ্বাস (নৌকা), বোয়ালিয়ায় খোয়াজ হোসেন (চশমা), আড়িয়ায় হেলাল উদ্দিন (স্বতন্ত্র) এবং মথুরাপুর ইউনিয়নে আনারুল কবির মিন্টু (আনারস)।
রোববার রাতে নির্বাচন কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর
ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১টিতে নৌকা বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচিত এই নৌকার কান্ডারি হলেন ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নে মো. রেজাউল হাসনাত দুদু।
অন্যদিকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে শাজাহান হাওলাদার মিয়া, আলগীতে ম. ম সিদ্দিক, কালামৃধায় রেজাউল মাতুব্বর, ঘারুয়ায় মুনসুর মুন্সি, চান্দ্রায় খালেক মোল্লা, চুমুরদিতে রফিকুল ইসলাম সোহাগ, তুজারপুরে ওলিউর রহমান, নাসিরাবাদে আলমগীর খান, নুরুল্লাগঞ্জে সৈয়দ শাহাবুর, মানিকদহে শহিদুল্লাহ বাচ্চু ও হামিরদি ইউনিয়নে খোকন মোল্লা।
এছাড়াও চরভদ্রাসন উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে চরভদ্রাসন সদরে আজাদ খান (স্বতন্ত্র), চরহরিরামপুর ইউপিতে জাহাঙ্গীর কবির ( স্বতন্ত্র-বিএনপি), গাজিরটেক ইউনিয়নে মো. ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র-বিএনপি) বিজয়ী হয়েছেন।
সাতক্ষীরা
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে সাফিয়া পারভীন (জাপা), দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল (আ.লীগ), বিষ্ণুপুরে বিএনপির স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম, তারালি ইউনিয়নে এনামুল ইসলাম ছোট (আ.লীগ), মথুরেশপুরে আবদুল হাকিম (আ.লীগের বিদ্রোহী), চাম্পাফুল ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক গাইন (আ.লীগ), ভাড়াশিমলায় নাজমুল হাসান (আ.লীগের বিদ্রোহী), ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে গাজী শওকত হোসেন (আ.লীগ বিদ্রোহী), কুশলিয়া ইউনিয়নে আবুল কাসেম মো. সুমন (আ.লীগ), মৌতলায় মো. ফেরদৌস মোড়ল (স্বতন্ত্র), রতনপুর ইউনিয়নে আলিম আল রাজী (আ.লীগ) ও নলতায় আজিজুর রহমান (বিএনপি স্বতন্ত্র)।
অপরদিকে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচিতরা হলেন কুলিয়া ইউনিয়নে মোঃ আসাদুল হক (আ.লীগ বিদ্রোহী), পারুলিয়া ইউনিয়নে গোলাম ফারুক বাবু (বিএনপি স্বতন্ত্র), দেবহাটা সদরে মোঃ আব্দুল মতিন (বিএনপি স্বতন্ত্র), সখিপুর ইউনিয়নে সাইফুল ইসলাম (আ.লীগের বিদ্রোহী), নওয়াপাড়ায় আলমগীর হোসেন সাহেব আলী (আ.লীগ)।
রংপুর
রংপুরের তিন উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩ ইউনিয়নের সাতটিতে বিদ্রোহী, চারটিতে নৌকা, একটিতে মশাল এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুর সদর উপজেলার দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত দুই বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে মমিনপুর ইউনিয়নে মিনহাজুল ইসলাম (বিদ্রোহী) ও খলেয়া ইউনিয়নে মোত্তালেবুল হক (বিদ্রোহী) নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী ছিলেন।
তারাগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ ও জাসদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটির মধ্যে দুজন বিদ্রোহী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে আলমপুর ইউনিয়নে রবিউল ইসলাম রাসেল (বিদ্রোহী), ইকরচালী ইউপিতে ইদ্রিস আলী (বিদ্রোহী), কুর্শা ইউপিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজালুল হক (নৌকা), হাড়িয়ারকুটি ইউপিতে জাসদের কুমারেশ রায় (মশাল) এবং সয়ার ইউনিয়নে খান ইবাদত পাইলট (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্যদিকে কাউনিয়া উপজেলায় ছয়টির মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং বাকিগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলার সারাই ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম (নৌকা), শহীদবাগ ইউপিতে আব্দুল হান্নান (নৌকা), বালাপাড়া ইউনিয়নে আনছার আলী (নৌকা), হারাগাছ ইউনিয়নে রাজু আহমেদ (বিদ্রোহী), কুর্শা ইউনিয়নে আব্দুল মজিদ (বিদ্রোহী) এবং টেপামধুপুর ইউনিয়নে রাশেদুল ইসলাম (বিদ্রোহী) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে ছয় ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুরে নাসির উদ্দিন (নৌকা), নোয়াগাঁওতে মোহাম্মদ সোহেল পাটওয়ারী (নৌকা), ভাদুরে জাবেদ হোসেন (নৌকা), দরবেশপুরে মিজানুর রহমান (নৌকা), ইছাপুরে আমির হোসেন খান (আনারস), চন্ডিপুরে শামছুল ইসলাম সুমন (মোটরসাইকেল), লামচরে ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটওয়ারী (আনারস), করপাড়া জাহিদ মির্জা (ঘোড়া), ভোলাকোটে দেলোয়ার হোসেন দিলু (চশমা) ও ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শামছুল আলম বুলবুল (আনারস) বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
রায়পুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনটিতে বিনা ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে আগেই বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। উত্তর চর আবাবিলে জাফর উল্যাহ দুলাল হাওলাদার (স্বতন্ত্র), উত্তর চরবংশীতে আবুল হোসেন হাওলাদার (নৌকা-বিনা ভোট), চরমোহনায় শফিক পাঠান (নৌকা-বিনা ভোট), সোনাপুরে অ্যাডভোকেট ইউসুফ জালাল কিসমত (নৌকা), চরপাতায় সুলতান মামুনুর রশিদ (নৌকা), কেরোয়ায় শাহিনুর বেগম রেখা (নৌকা), বামনীতে তাফাজ্জল হোসেন (নৌকা), দক্ষিণ চরবংশীতে আবু সালেহ।