তাহলে কোথায় গেলেন ডা. মুরাদ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার রাত ১০ টা থেকে ১১টার মধ্যে তার কানাডায় প্রবেশ করার কথা। কিন্তু কানাডা থেকে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল ‘নতুন দেশ’ বলছে ভিন্ন কথা।

প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর সম্পাদিত অনলাইনটি দাবি করেছে, ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও কানাডিয়ান নাগরিক কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন। পরে তাকে মধ্যপ্রচ্যের একটি দেশের বিমানে তুলে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

কানাডায় বসবাসরত তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

ডা. মুরাদ আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১.৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। এ সময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশের একটি বিমানে উঠিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও প্রবাসী একটি সূত্রের দাবি, মুরাদ হাসান বর্তমানে মন্ট্রিয়ালে অবস্থান করছেন। আরেকটি সূত্রের দাবি তিনি হয়তো ইতিমধ্যে মধ্যেপ্রাচ্যের সেই দেশে পৌঁছে গেছেন।

অন্যদিকে, আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ডা. মুরাদ ইস্যুতে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

ডা. মুরাদকে কেন কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি? কেন তাকে টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি?

এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মুরাদ হাসানকে কেন কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হলো না, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না আমরা। না জেনে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’

Related Articles

Back to top button