ডেডলাইন ১ জুন: ঋণ বিপর্যয় এড়াতে তৎপর বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে রাজধানীতে ফিরেছেন। গত সোমবার তিনি রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যার এখনো সুরাহা হয়নি।
বৈঠক শেষে জো বাইডেন বলেছেন, ‘সংকট সমাধানের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে রাজধানীতে ফিরেছেন। গত সোমবার তিনি রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যার এখনো সুরাহা হয়নি।
বৈঠক শেষে জো বাইডেন বলেছেন, ‘সংকট সমাধানের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের অনৈক্য আছে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ করার সর্বোচ্চ সীমা এখন বেঁধে দেওয়া আছে ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত জানুয়ারিতেই যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ঋণ এই সীমায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় অন্য কিছু উপায়ে সরকারকে বাড়তি অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, যদি কংগ্রেস আরো বেশি ঋণ নেওয়ার জন্য অনুমোদন না দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার অর্থশূন্য হয়ে পড়বে এবং ঋণখেলাপি হবে। অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন এরই মধ্যে ১ জুন ডেডলাইন ঠিক করে দিয়েছেন।
এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনেট ইয়েলেন বলেন, ‘কংগ্রেসকে দেওয়া আমার সর্বশেষ চিঠিতে বলেছি, যদি ঋণসীমা না বাড়ানো হয় তবে জুনের শুরুতেই আমরা সব ধরনের বিল প্রদানে অপারগ হব, এমনকি ১ জুন থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। আমি কংগ্রেসকে এ ব্যাপারে আপডেট দিতে থাকব, কিন্তু আমি যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি তাতে কোনো পরিবর্তন নেই। সুতরাং আমি মনে করি এটি একটি কঠিন ডেডলাইন। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যারা সরকারকে ঋণসীমা বৃদ্ধির অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর শর্ত দিয়ে রেখেছে। কিন্তু সরকার তা মানতে নারাজ। ফলে এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ যাবৎ অচলাবস্থা রয়েছে। আর সেই অচলাবস্থা ভাঙতেই জো বাইডেন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র : এএফপি