ট্রেন বিলম্বে আসায় ছাড়তেও দেরি হয়েছে: স্টেশন ম্যানেজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. মাসুদ সারোয়ার জানিয়েছেন, স্টেশনে ট্রেন দেরি করে আসায় ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ার সব প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির ট্রেনের ঈদযাত্রা আজ থেকে শুরু হয়েছে। সবগুলো ট্রেনই সিডিউল অনুযায়ী ছেড়েছে। শুধু রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস কিছুটা দেরিতে ছেড়েছে। ট্রেন বিলম্বে আসায় ছাড়তে দেরি হয়েছে। এটাকে আসলে সিডিউল বিপর্যয় বলে না। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল একটি ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটেছে। সে কারণে ট্রেন আসতে দেরি হয়েছে। এখান থেকে ছাড়তেও দেরি হয়েছে।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন সকালের ট্রেন বিকেলে, বিকেলের ট্রেন রাত ১২টায় বা পরের দিন এসেছে। এখন সে অবস্থা নেই। আমরা চাই মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে। সবাই আনন্দ করার জন্যই বাড়ি যাচ্ছে, এতে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটলে বা দুর্ঘটনা না হলে আমরা ঈদযাত্রার বাকি দিনগুলোতে ঠিক সময়েই ট্রেন ছাড়তে পারবো।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি ঢাকা-লালমনিরহাট, ঢাকা-খুলনাসহ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ তারিখ রাতের যেসব টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেসব কাউন্টারে টিকিটের চাহিদা কম। টিকিটপ্রত্যাশীদের তেমন ভিড় নেই।
ঈদে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই ঈদযাত্রায় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। আমাদের প্রতিটি স্টেশনে বলা আছে যেন যাত্রীরা নিরাপদে নামতে পারে। কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে। কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও যাত্রীরা যেন নিরাপদে ওঠানামা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। আমরা যাত্রীদের বলেছি যেন তারা মাস্ক পরিধান করে। নিজে এবং অন্যদের নিরাপদে রাখে।
মাস্ক পরতে উৎসাহিত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করার সময়ই গেটে যাত্রীদের মাস্ক পরার কথা বলছি। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে আমরা বললাম কিন্তু সেটা পরে মানছে কি না। যে সচেতনতা দরকার এটা তারা মানছে কি না এটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এর আগে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ১ ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে যায়। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজারগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে সাতটায় ছাড়ার কথা থাকলেও ৭টা ৫৫ মিনিটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের।
ঈদযাত্রায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা ট্রেনগুলো ছাড়ছে আজ সকাল থেকে। তবে প্রথম দিনেই যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে ট্রেনের এই সিডিউল বিপর্যয়। মোট ৩৭টি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে আজ।