চেয়ারম্যানকে গুলি : ‘প্রধান আসামি আরিফ পালিয়ে গেছে দুবাইয়ে’

অনলাইন ডেস্ক

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামি আরিফ সরকারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি আরিফ এরই মধ্যে দুবাই চলে গেছেন বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী হারুনের পরিবার। এদিকে নামের মিল থাকায় আরিফুল ইসলামকে (২৪) ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটকের দাবি করেছে তাঁর পরিবার।

ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ খানের পরিবারের দাবি, শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে আরিফ এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে চলে গেছেন।
র আগে রাজধানী থেকে আরিফকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন বলে খবর ছড়ায়। কিন্তু সেই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি শিবপুর থানা পুলিশ। এরই মধ্যে হত্যাচেষ্টায় অংশ নেওয়া গাড়িচালক নূর মোহাম্মদ ও মো. শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এজাহারভুক্ত বাকি চার আসামি আরিফ সরকার, মো. মহসিন মিয়া, ইরান মোল্লা ও মো. হুমায়ুন এখনো পলাতক। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদ সরকার, মোমেন মোল্লা, সাব্বির মিয়া ও মনসুর আহমেদ রানাকে আটক করা হয়। পরে হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিকে শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, আরিফের পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করা হয়। শাকিল, মহসিন ও ইরান ঘটনার দিন মোটরসাইকেলে চড়ে হারুনুর রশিদ খানের বাড়িতে যান। তাঁর বুকে গুলি চালিয়ে হত্যার পরিকল্পনা ছিল আসামিদের। কিন্তু গুলিটি হারুনের শরীরের পেছনের অংশে লাগে। সেখান থেকে বেরিয়ে নূর মোহাম্মদের গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। আরিফ সরকারের ফুপাতো বোনের স্বামী শাকিল। বিভিন্ন অপকর্মে তিনি আরিফের সঙ্গে থাকতেন। উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মিশনেও আরিফের নির্দেশেই গিয়েছিলেন তিনি।

Related Articles

Back to top button