চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরসহ ১৬ জনের একযোগে পদত্যাগ
অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৬ জন একযোগে পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কাছে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে চলছে সেটাই বুঝতে পারছি না। ভিসি স্যারের কাজের কোনো শৃঙ্খলা নাই। দুজন সিন্ডিকেট সদস্য যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন নিয়োগে অনিয়ম হচ্ছে। তার দায়ভার আমাদের ওপর আসছে। ১৮টি পোস্টের ১৬ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারীদের মধ্যে সহকারী প্রক্টর ছয়জন ও বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রভোস্ট রয়েছেন।
পদত্যাগ করা শিক্ষকরা হলেন, প্রক্টর ও শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টর এস এম জিয়াউল ইসলাম, ড. শহীদুল ইসলাম, ড. রামেন্দু পারিয়াল, মো. শাহরিয়ার বুলবুল ও গোলাম কুদ্দুস লাভলু, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো ওমর ফারুক, শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষক মো. শাহরিয়ার বুলবুল, এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক আনাবিল ইহসান, প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষক ফারজানা আফরিন রূপা, শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রমিজ আহমেদ সুলতান, শামসুন নাহার হলের আবাসিক শিক্ষক শাকিলা তাসমিন, খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. শাহ আলম, নাসরিন আক্তার ও উম্মে হাবিবা এবং আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষক ঝুলন ধর।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার পদত্যাগের পরপরই নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ১২ মার্চ থেকে নিয়ম মোতাবেক প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। বিভিন্ন সময় গবেষণার কাজ ও অ্যাকাডেমিক ব্যস্ততার কারণে এই দায়িত্ব থেকে আমি আরো আগেই সরে যেতে চেয়েছিলাম। সেজন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
তবে একযোগে পদত্যাগের প্রসঙ্গে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।