‘কোনোভাবেই পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। পানির দাম বাড়ালে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। তাই কোনোভাবেই পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। সম্প্রতি ওয়াসার বিশেষ বোর্ড সভায় পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে- তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিবদের এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, এটিইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল এমপি।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, মহামারি করোনার কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি। এমন বাস্তবতায় সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। আবার প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজধানীর অনেকেই প্রতিমাসে পানির বিল দিয়ে প্রয়োজন মতো পানি পাচ্ছেন না। আবার অনেকের অভিযোগ, ওয়াসা লাইনের পানি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায়- তা পান করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ওয়াসা নিজস্ব আয় দিয়ে পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে- এ অজুহাতে পানির দাম বৃদ্ধি করা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায়, ওয়াসার বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে অযৌক্তিক হারে উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা পুষিয়ে নিতেই জনগণের ঘাড়ে অতিরিক্ত হারে পানির দাম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বক্তব্যে প্রমাণস্বরূপ গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলেছিলেন, পদ্মা নদীর পানি শোধনের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩ হাজার ৮শ কোটি টাকার ‘পদ্মা-জশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার ও সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পর দেখা যায় সেখান থেকে দৈনিক মাত্র ১৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে প্রতি মাসে সরকারের ক্ষতি ১৭ কোটি টাকা, বছরে ২০৪ কোটি টাকা।

Related Articles

Back to top button