কিয়েভে ৪১০ মরদেহ উদ্ধার, নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের কাছে ধ্বংস হওয়া রাশিয়ান ট্যাঙ্ক, ছবি সংগৃহীত
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে রুশ বাহিনীর প্রত্যাহারের পর বুচা শহরে ৪১০টি মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। খবর আল জাজিজার।
রোববার (৩ এপ্রিল) দেশটির প্রসিকিউটর-জেনারেল জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিয়েভের বিস্তৃত অঞ্চল থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো বেসামরিক নাগরিকদের বলেও জানান তিনি।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বুচায় রাশিয়ান সেনা কর্তৃক বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। মস্কো এটিকে ‘ইউক্রেনীয় উগ্রপন্থীদের প্ররোচনা’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ নিয়ে আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, কিয়েভ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের বুচা শহরে গণকবর দিয়ে শত শত মানুষকে দাফন করেছে ইউক্রেনের সেনারা। শহরটির মেয়র অ্যানাতোলি ফেদোরুক অভিযোগ করেছেন, নির্বিচারে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে রুশ বাহিনী।
এর আগে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী রাশিয়ার সৈন্যদের কাছ থেকে বেশ কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার জানিয়েছেন, কিয়েভ এখন পুরোপুরি ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে দেশটিতে কয়েকশ মানুষের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।