ইভিএমে ধীরগতি: টেকনিক্যাল কমিটির মত নিয়ে সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি, ভোট কম পড়াসহ নানা কারণ চিহ্নিত করে টেকনিক্যাল কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে ইসি।

নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি টেকনিক্যাল কমিটি বৈঠকে বসবে। তারা যা প্রস্তাব করবে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ইভিএমের সব সমস্যা সেই বৈঠকে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে।

এ পর্যন্ত ইভিএমে যত নির্বাচনে হয়েছে, এর বেশিরভাগেই ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশের নিচে। সামগ্রিকভাবে হিসাব করলে ভোট পড়ার হারের দিক থেকে ইভিএমের চেয়ে ব্যালট পেপার অনেক এগিয়ে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, কেবল আঙ্গুলের ছাপ মুছে যাওয়াজনিত সমস্যা নয়, অনেক সময় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ঠিকমত প্রশিক্ষণ না নেওয়ার কারণে ভোটের ধীরগতি হয়। আবার অনেক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিজেই টেকনিক্যাল বিষয় ভালো করে বোঝেন না। যে কারণে তারা ভোটের দিন ভোট নিতে কিছুটা পিছিয়ে থাকেন। এসব সমস্যার সমাধান খুঁজছে ইসি।

২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণ চালু করে। সে সময় তারা বুয়েটের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকায় মেশিন তৈরি করে নেয়। কিন্তু সেই মেশিন ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিকল হয়ে পড়ে। ফলে বুয়েটের কাছ থেকে নেওয়া মেশিন বাদ দিয়ে নতুন করে উন্নতমানের ইভিএম প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নেয় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন। আর সেই সিদ্ধান্তেই কেএম নূরুল হুদার বর্তমান কমিশন দুই লাখ টাকা দামের অধিক উন্নত মেশিন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে তৈরি করে নিয়েছে।

বর্তমানে ইসির কাছে এক লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে। এসব ইভিএমের দু’টি ইউনিট। একটি কন্ট্রোল ইউনিট। আরেকটি ব্যালট ইউনিট। কন্ট্রোল ইউনিটে আঙ্গুলের ছাপ মিললেই ব্যালট ইউনিটে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপার ওপেন হয়। তারপর সেখানে পছন্দের প্রতীকে পাশে রাখা বোতামে চাপ দিয়ে ভোট দেওয়া সম্পন্ন করা হয়। যাদের আঙ্গুলের ছাপ মেলে না, তারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তা নিয়ে ব্যালট ইউনিট ওপেন করে ভোট দিয়ে থাকেন।

Related Articles

Back to top button