অসহায় বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল মতিনকে একটি ঘর দিন – চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে,
বীর মুক্তিযুদ্ধা আবদুল মতিন অর্থকষ্টে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন । তিনি নাঙ্গলকোটের বটতলী ইউনিয়নের জিনিয়ারা গ্রামের কৃতি সন্তান! যৌবনে ছিলেন শক্তি ও সম্পদের মালিক। বঙ্গবন্ধুর আহব্বানে সাড়া দিয়ে লড়াই করেছেন দেশের জন্য সন্মূখ সমরে । ১৯৬৯- ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছিলেন বৃহত্তর দৌলখাঁড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। কাজী জহিরুল কাইয়ুম বাচ্চু মিয়ার সহযোদ্ধ! তখন আমাদের এলাকায় হাতে গোনা যে কজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি আওয়ামী লীগ করতেন – তিনি তাদের অন্যতম। তাঁর দেয়া ১৮ গন্ডা জমিতে এখন বটতলী হাইস্কুল। তাঁর স্বপ্ন ছিল এলাকায় স্কুল হবে – দেশে উন্নয়ন হবে। সবই হয়েছে কিন্তু তাঁর অবস্থা দিন দিন মানবেতর হয়েছে। তাঁর দেয়া জমিতে গড়ে উঠা বটতলী এমএ মতিন উচ্চ বিদ্যালয়ও আজ বেইমানদের দখলে – তাঁকে যথাযথ সন্মানটুকুও দেয় না। গত ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় – তবুও কেউ এ বীর সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করেনি।
দেশের এ মহান সন্তান নিজের ও পিতার দেয়া সকল সম্পদ বিক্রি করে সৎ ভাবে ডাল ভাত খেয়ে ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এখন নিঃশেষ। খুব পরাতন ভাঙ্গা ঘর টুকুই শেষ সম্ভল! এ ঘরও নড়বড়ে – যে কোন দিন ভেঙে পড়বে। আশংকা নিয়েই তিনি নিরুপায় হয়ে বসবাস করছেন। ছেলেরাও রাজনৈতিক বা সামাজিক কোন সাহায্য পায়নি – পায়নি রাষ্ট্রের কোন আনুকুল্য।
প্রিয় নেত্রী – বঙ্গবন্ধুর কণ্যা আপনি ব্যতিত মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের লোকদের দেখার কেউ নেই! আপনার কাছেই আমাদের আবেদন – নিজ ভূমিতে হলেও তাঁর একটা ঘর অতি জরুরি, চিকিৎসাও অতি জরুরি।
রাষ্ট্রের এ বীর সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য – সরকার – দলের নেতা ও ভীত্তবানদের প্রতি অনুরোধ রইল! মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সালাম নয় – দরকার বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য!
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম
সম্পাদক – দৈনিক প্রাচ্যবাণী এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি

Related Articles

Back to top button